বাংলার নবাব - Nawab of Bengal
মুর্শিদকুলী খান ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর সুবাহ বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি রাজধানী মাখসুদাবাদে স্থানান্তর করেন যা তার নাম থেকে মুর্শিদাবাদে নামকরণ হয়। তিনি একজন ধর্মনিষ্ঠ, ন্যায়পরায়ণ ও প্রজাদরদী শাসক ছিলেন। তিনি ইসলামী শরীয়ত অনুসারে কঠোরভাবে দেশ শাসন করতেন। তিনি সপ্তাহে দুবার স্বয়ং বিচারকার্য পরিচালনা করতেন। তার সময়ে দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। বাংলা তুর্কী, পারসী, মাজাপাহী, ইংরেজ, ফরাসী প্রভৃতি জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়।[৩৯] তার সময়ে বাংলার হুগলী একটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক বন্দরে পরিণত হয়।
মুর্শিদকুলী খানের পর তার জামাতা সুজাউদ্দিন খান বাংলার নবাব হন। তিনি ত্রিপুরা আক্রমণ করেন এবং ত্রিপুরা বাংলার একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়। তিনি বীরভূমের শাসক বদিউজ্জামানের বিদ্রোহ দমন করেন। তিনি কঠোরভাবে ইউরোপীয় বণিকদের দস্তক প্রথা ও শুল্ক ফাঁকি বন্ধ করেন। তার সময়ে ইংরেজ, ফরাসি ও পর্তুগিজ বণিকগণ কোনরূপ শুল্ক ফাঁকি দিতে পারতেন না। উপরন্তু নবাবকে ইউরোপীয় বণিকদের নজরানা দিয়ে সবসময় সন্তুষ্ট রাখতে হত। কাশিমবাজারের ইংরেজ কুঠির অধ্যক্ষ নবাবকে তুষ্ট করার জন্য তিন লক্ষ টাকা নজরানা দেন।[৪০]
নবাব আলীবর্দী খানের সময় বাংলায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তার সময়ে মারাঠাগণ বাংলা আক্রমণ করে। তবে আলীবর্দী খান একজন বিখ্যাত মহাবীর ছিলেন। তিনি সুদীর্ঘ দশ বছর মারাঠাদের সাথে সংগ্রামে লিপ্ত থাকেন। এবং বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করতে সক্ষম হন। তবে তিনি উড়িষ্যা প্রদেশটি মারাঠাদের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।[৪১] নবাব আলীবর্দী খানের পরে সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব হন। তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। প্রথমদিকে কলকাতার যুদ্ধে ইংরেজদের পরাজিত করলেও শেষ পর্যন্ত পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের হাতে পরাজিত হন। ফলে বাংলার নবাবী সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
Murshid Quli Khan declared the independence of Subah Bengal after the fall of the Mughal Empire in 1616 AD. He shifted the capital to Makhsudabad which is named after him in Murshidabad. He was a pious, just and pragmatic ruler. He ruled the country strictly according to Islamic law. He conducted his own trials twice a week. During his time there was a great expansion of trade and commerce in the country. Bengal became an important trading center for the Turks, Persians, Mazapahis, English, French, etc. The Hooghly of Bengal became a famous international port during his time.
After Murshid Quli Khan, his son-in-law Sujauddin Khan became the Nawab of Bengal. He invaded Tripura and Tripura became a tributary state of Bengal. He suppressed the revolt of Badiuzzaman, the ruler of Birbhum. He strictly stopped the practice of knocking on European merchants and tax evasion. In his time English, French and Portuguese merchants could not evade any duty. In addition, the Nawab always had to be satisfied with the gifts of the European merchants. The principal of the English factory at Kasimbazar paid three lakh rupees to appease the Nawab. [40]
During the reign of Nawab Alivardi Khan there was political chaos in Bengal. During his time the Marathas invaded Bengal. But Alivardi Khan was a famous Mahabir. He fought with the Marathas for ten long years. And was able to defend the independence of Bengal. However, he was forced to hand over the province of Orissa to the Marathas. [41] After Nawab Alivardi Khan, Siraj-ud-Daulah became the Nawab of Bengal. He went to war against the English. At first he defeated the British at the battle of Calcutta, but in the end he was defeated by the British at the battle of Palashi. As a result, the Nawabi Empire of Bengal collapsed.
Comments
Post a Comment